ডি.এন ডেস্ক : গত ২২ শে ফেব্রুয়ারী’০৯ রোববার সকালে ঢাকার গোয়েটে ইনিস্টিটিউটে চতুর্থ বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের শ্রোতা সম্মেলন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডয়চে ভেলে দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গোয়েটে ইনিস্টিটিউটের পরিচালক টরস্টেন অরটেল ও ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের সম্পাদক ফাহমিদা সুলতানা৷
আলোচনা সভার শুরুতেই শ্রোতাবন্ধুরা ফুলের তোড়া দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নিয়েছেন। আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গ্রেহেম লুকাস বলেছেন, ডয়চে ভেলে শিঘ্রই এফ.এম এ আসবে। এফ.এম এ শ্রোতাদের যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে আমরা তা বুঝতে পারছি। আগামী এপ্রিলের মধ্যে আমরা হয়ত এফ.এম কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। ‘ডয়চে ভেলে রেডিও ২০০৮ সালে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে৷ গেল বছর এক লাখ ১০ হাজারের মত ই-মেইল, এসএমএস আমরা পেয়েছি৷ পরিবর্তিত ওয়েব সাইটও পেয়েছে দারুণ জনপ্রিয়তা৷' বাংলাদেশের অনলাইন নিউজ পেপার বিডিনিউজ ২৪ ডট কমে এখন ডয়চে ভেলের ব্যানার দেখা যায়৷রেডিও ফুর্তিসহ আরো বেশ কিছু সাংবাদিকের সঙ্গে আমরা বৈঠক করব৷ যাতে তাদের সাথেও আমরা কাজ করতে পারি। কিভাবে বাংলাদেশে ডয়চেভেলেকে আরো বেশী জনপ্রিয় করা যায় সে বিষয়ে আমাদের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে৷ তিনি বলেন, ফেস বুকে একটি গ্রুপ গঠন করা হয়েছে৷ বর্তমানে যার সদস্য সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার৷ গ্রেহেম লুকাসবাংলাদেশে আসার আগে ১৭ ই ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত কলকাতায় শ্রোতা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন৷ সেখানে তিনি শ্রোতাদের কিছু অভিযোগ-অনুযোগের উত্তর যেভাবে দিয়েছেন তা ঢাকা শ্রোতা সম্মেলনে তুলে ধরেন এবং বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতারা বলছে, আমাদের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বাংলাদেশের সংবাদ বেশী থাকে৷ কিন্তু আমার কথা হচ্ছে সংবাদ বেশী না কম সেটা ব্যাপার না, আমরা কোয়ালিটি নিশ্চিত করে নিরপেক্ষভাবে সংবাদ দিতে পারলাম কিনা সেটাই দেখার বিষয়৷' তবে বাংলাদেশের মত পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতারাও ফ্রিকোয়েন্সীর সমস্যার কথা বলেছেন এবং আমরা এই সমস্যা সমাধানে সকল শ্রোতার সহযোগিতা চাই৷ তিনি ঢাকার বই মেলায় এবার প্রথমবারের মত স্টল দেওয়ার পটভুমিও তুলে ধরেন৷
শ্রোতা সম্মেলনে বিশেষ অতিথি গোয়েটে ইনিস্টিটিউটে পরিচালক অরটেল বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে একটা সম্পর্ক স্থাপন করেছে ডয়চে ভেলে৷ এই সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে আমি খুশি।
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের অন্যতম সম্পাদক ফাহমিদা সুলতানা অনুষ্ঠান শুনে শ্রোতাদের আরো বেশী করে মতামত দেওয়ার অনুরোধ জানান৷ শ্রোতারা কষ্ট করে সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য তিনি ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন জানান৷ আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ডয়চে ভেলে ফেডারেশনের চেয়ারম্যান জামান সিদ্দিকী, কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক সংগঠন বিএনএনআরসি-র প্রধান বজলুর রহমান, ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি হারুন উর রশীদ স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আলম এছাড়া ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠান সম্পর্কিত শ্রোতাদের মুক্ত আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন শ্রোতা বন্ধু সালাউদ্দিন ডলার, দিদারুল ইকবাল, মো: ওসমান গণী প্রমূখ।
বক্তব্য রাখছেন ডয়চে ভেলের গ্রেহেম লুকাস, গোয়েটে ইনিস্টিটিউটের পরিচালক অরটেল এবং প্রথম বারেরমত ডয়চে ভেলে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে পদক গ্রহণ করছেন গ্রেহেম লুকাস ও ফাহমিদা সুলতানা।
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের শ্রোতাদের যোগাযোগের অনুষ্ঠান মেইল বক্স-এর সম্পাদক ও ফিডব্যাক কো-অর্ডিনেটর নুরুননাহার সাত্তার এবার শ্রোতা সম্মেলনে না এলেও তিনি সম্মেলন চলাকালীন সময়ে বন স্টুডিও থেকে টেলিফোনে সরাসরি শ্রোতাবন্ধুদের সাথে কথা বলেছেন৷ বন স্টুডিও থেকে তিনি শ্রোতা সম্মেলন সম্পর্কে ফোনে যাদের স্বাক্ষাতকার নিয়েছেন তারা হলেন, ঢাকার শ্রোতাবন্ধু মোস্তফা কামাল, কিশোরগঞ্জের আশ্রাফুল ইসলাম, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব ঢাকা শাখার সভাপতি তাছলিমা আক্তার লিমা, ঢাকার সালেহ মতিন, খুলনার বিকাশ রঞ্জন ঘোষ, রাজশাহীর সালাউদ্দিন ডলার, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব ঢাকা শাখার ক্ষুদে সদস্য শ্রাবণী, ঢাকার নতুন শ্রোতা ইয়াসমিন এবং সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক দিদারুল ইকবাল প্রমূখ।
টেলিফোনে বন্ধুরা জানালেন ডয়চে ভেলের প্রতি তাঁদের আবেগ, উচ্ছ্বাস আর ভালোবাসার কথা৷ জানালেন অনুষ্ঠান ও ওয়েবসাইট সম্পর্কেও খোলামেলা মতামত৷ আরো বললেন ডয়চে ভেলে এখন অনুষ্ঠানের শ্রবনমানের চেয়ে ওয়েবসাইটের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে৷ কিন্তু প্রশ্ন বাংলাদেশের কজন শ্রোতার ওয়েবসাইট দেখার সুযোগ রয়েছে? আরেকজন বন্ধু বললেন আমাদের বাংলা ওয়েবসাইটে কি নেই ! সবই তাঁর কাছে ভালো লাগে ৷ সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে বিনোদন আর শ্রোতাদের জন্য আলাদা পাতা তো রয়েছেই ৷