বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রোতা সংগঠক, ডিএক্সার এবং
শ্রোতাদের ব্যাপক অনুরোধ ও দাবীর পর
এই প্রথমবারের মত একুশে বইমেলায় ডয়চে ভেলে
মোস্তাফিজুর রহমান, [ঢাকা থেকে ]
১লা ফেব্রুয়ারী’২০০৯ রোববার বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পৌছে দিতে তার সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ৷ সেজন্য বাংলা ভাষার উন্নয়ন, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন আর সৃজনশীল সাহিত্য তৈরিতে তার সরকার সহায়তা করবে৷
বইমেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণে ছিলো লেখক, প্রকাশক, পাঠক আর ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। বইমেলায় এবার রাখা হয়েছিলো সংবাদ মাধ্যমের জন্য আলাদা স্টল৷ বর্ধমান হাউজের পেছনে সাজানো হয়েছিলো এই স্টলগুলো৷ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রোতা সংগঠক, ডিএক্সার এবং শ্রোতাদের ব্যাপক অনুরোধ ও দাবীর পর এই প্রথমবারের মত এবারের বইমেলায় স্টল দিয়েছে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ৷ প্রথম দিন থেকেই শ্রোতাসহ সাধারণ মানুষ স্টলে এসে ডয়চে ভেলের কার্যক্রম সম্পর্কে জানেন৷ এই স্টলকে ঘিরে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রোতাসহ দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে৷ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার শ্রোতা সংগঠক, ডিএক্সার ও শ্রোতাবন্ধুরা মেলা চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে ডয়চে ভেলের স্টল পরিদর্শন করেছেন এবং তারা সেখানে মন্তব্য বই এর মধ্যে তাদের ব্যাপক আগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন। সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর পরিচালক দিদারুল ইকবাল, ঢাকা শাখার সভাপতি তাছলিমা আক্তার লিমা এবং কেন্দ্রীয় ক্লাবের জীবন সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ৭ এবং ২১শে ফেব্রুয়ারী ডয়চে ভেলের স্টল পরিদর্শন করেছেন। ২১শে ফেব্রুয়ারী বিকেলে তারা ডয়চে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস এবং বাংলা বিভাগের সম্পাদক ফাহমিদা সুলতানার সাথে ডয়চে ভেলের স্টলে স্বাক্ষাত করেন। এই প্রথম বারেরমত একুশে বই মেলায় ডয়চে ভেলের স্টল থাকায় সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর পরিচালক দিদারুল ইকবাল ডয়চে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাসকে আন্তরিক অভিনন্দন সহ ধন্যবাদ জানান। সেখানে তারা ২০০৮ সালের শ্রোতা সম্মেলন এবং ২০০৯ সালের শ্রোতা সম্মেলন সম্পর্কেও আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য একুশে বই মেলায় ডয়চে ভেলের অংশ গ্রহণ সম্পর্কে সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর পরিচালক দিদারুল ইকবাল এর একটি মতামত ৬ই ফেব্রুয়ারী ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইটে ছাপানো হয়। ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের শ্রোতাদের যোগাযোগের অনুষ্ঠান মেইল বক্স-এর সম্পাদক ও ফিডব্যাক কো-অর্ডিনেটর নুরুননাহার সাত্তার এর সংকলিত সেই মতামতটি এখানে তুলে ধরা হল।
আপনাদের মতামত | 06.02.2009
বই মেলায় ডয়চে ভেলের স্টল থাকুক এটা ছিলো আমাদের প্রাণের দাবী
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী আর আমাদের এই বাংলা ভাষা আমাদের অহঙ্কার ৷ যাকে আমরা মায়ের মতো ভালোবাসি৷ এই ভাষার মাসে ডয়চে ভেলেকে রক্তিম শুভেচ্ছা৷ এসময়ই বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিম বঙ্গে হয়ে থাকে বই মেলা৷ এর আগে পশ্চিম বাংলায় ডয়চে ভেলে স্টল দিলেও বাংলাদেশে কোন স্টল করেনি৷ বাংলাদেশের বই মেলায়ও ডয়চে ভেলের স্টল থাকুক এটা ছিলো আমাদের প্রাণের দাবী৷ ডয়চে ভেলে এবছর বাংলাদেশের বই মেলায় স্টল দিয়ে আমাদের এতোদিনের দাবী পূরণ করেছে সেজন্য আমরা ডয়চে ভেলের কাছে কৃতজ্ঞ৷ আমরা আসছি ডয়চে ভেলের স্টলে৷ দিদারুল ইকবাল, হালিশহর, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ৷ সংকলকঃ নুরুননাহার সাত্তার