আজ ১ অক্টোবর ২০১১ সাল সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সকল আন্তর্জাতিক বেতারের কর্মকর্তা কর্মীবৃন্দ, বেতারের শ্রোতাবন্ধু, ডিএক্সার, মনিটর, ওয়েবসাইটের পাঠক, ফেইসবুক বন্ধু এছাড়া ওয়েবসাইটে আপনারা যারা নিয়মিত ভিজিট করছেন তাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালের এই দিনে সিগন্যাল ইন্সপেক্টর অফিস, সিগন্যাল কেবিন, বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে এই শ্রোতা ক্লাবটি। >>> দিদারুল ইকবাল (সম্পাদক ও প্রকাশক), ডিএক্সীং নিউজ

Jan-Feb/2009 Issue

মাসিক ডিএক্সীং নিউজ

জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী২০০৯

প্রথম পাতা

চীন আন্তর্জাতিক বাংলা বিভাগের ৪০ বছর পূর্তিতে-

ঢাকায় অন্তরঙ্গ মতবিনিময় সভা

ডয়চে ভেলে শিঘ্রই এফ.এম. এ আসবে

ঢাকায় ডয়চে ভেলের ৪র্থ শ্রোতা সম্মেলনে ডয়চে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস

শেষ পাতা

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রতিনিধিদল ও বাংলাদেশ বেতারের মধ্যে-

এফ.এম প্রকল্প নিয়ে স্মারক স্বাক্ষরিত

চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে-

ঢাকায় আনন্দঘন উদযাপনী অনুষ্ঠান

ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের ৩৪ বছর উপলক্ষে-

একুশের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং তাছলিমা আক্তার লিমার একক চিত্রপ্রদর্শনী

সম্পাদকীয় যোগাযোগ

রেডিও শুনুন, বিশ্বকে জানুন- বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সূচী

বিজ্ঞপ্তী

৬ষ্ঠ পাতা

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রোতা সংগঠক, ডিএক্সার এবং শ্রোতাদের ব্যাপক অনুরোধ ও দাবীর পর-

এই প্রথমবারের মত একুশে বইমেলায় ডয়চে ভেলে

ডিএক্সীং নিউজ সম্পাদকীয় বোর্ড

সপ্তম পাতা

চীন আন্তর্জাতিক বেতার-শান্ত মারিয়াম প্রচার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা হয়েছে

সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) ঢাকা শাখার আয়োজনে
মহান স্বাধীনতা দিবসে
শিশুদের চিত্রাংকন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা


নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা থেকে : বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গত ২৬ শে মার্চ ২০০৯ সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) ঢাকা শাখার পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিলো দিনব্যাপী শিশুদের চিত্রাংকন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ।
২৬ শে মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর পরিচালক জনাব দিদারুল ইকবাল মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত “শিশুদের চিত্রাংকন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা”র শুভ উদ্ধোধন করেন।
উদ্ধোধনের পরপরি শুরু হয় প্রতিযোগিতার প্রথম ইভেন্ট ‘চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা’ । এর পর ২য় ইভেন্টে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পর্যায়ক্রমে বালিশ খেলা, দাদুর খেলা এবং চোখ বাধা অবস্থায় কপালে টিপ পড়ানো খেলা অনুষ্ঠিত হয় । প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ৬০ জন সুবিধা বঞ্চিত শিশু অংশ গ্রহনের সুযোগ পেয়েছে ।


চিত্রাংকন এবং দাদুর খেলা প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার বিজয়ী: বন্যা আক্তার এবং মো: রকিব এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন মিরপুর বিশিল জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব আবদুল আউয়াল।

সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) ঢাকা শাখার এই আয়োজনটি এমন শিশুদের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে যারা সবসময় সমাজের কাছে অবহেলিত এবং রাষ্ট্রিয় সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এমন কি মৌলিক অধিকার থেকেও । তাই অনুষ্ঠানটি সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে উৎসর্গ করা হয়েছে ।
প্রতিযোগিতা শেষে সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) ঢাকা শাখার সভাপতি তাছলিমা আক্তার লিমার সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি মিরপুর

কপালে টিপ পড়ানো এবং বালিশ খেলা প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার বিজয়ী: শিরিন আক্তার এবং মো: হূদয় এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক)’র পরিচালক জনাব দিদারুল ইকবাল এবং ঢাকা শাখার সভাপতি তাছলিমা আক্তার লিমা ।

বিশিল জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব আবদুল আউয়াল এবং সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর পরিচালক জনাব দিদারুল ইকবাল শিশুদের সাথে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস নিয়ে আলোচনা করেন । আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা সাকিয়া বেগম, মো: আমিনুল ইসলাম, মো: আজিজুল হক, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) ঢাকা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুবর্ণা আক্তার রিয়া প্রমূখ । >>>১) চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা:






















চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার কিছু অংশ বিশেষ।

প্রতিযোগিতায় দুটি বিভাগের ৪টি ইভেন্টে যারা বিজয়ী হয়েছে তারা হলো-
১) চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা> প্রথম: বন্যা আক্তার, দ্বিতীয়: মো: সোলেমান ও তৃতীয়: মো: সুমন। ২) ক্রীড়া প্রতিযোগিতা> (ক) বালিশ খেলা: প্রথম: মো: হূদয়, দ্বিতীয়: সুইটি আক্তার ও তৃতীয়: মো: রুবেল। (খ) দাদুর খেলা: প্রথম: মো: রকিব, দ্বিতীয়: মো: নাজমুল ও তৃতীয়: বাতাসী খাতুন। (গ) কপালে টিপ পড়ানো খেলা: প্রথম: শিরিন আক্তার, দ্বিতীয়: মো: জনি ও তৃতীয়: মো: রাজিব ।

২) ক্রীড়া প্রতিযোগিতা (ক) বালিশ খেলা:







ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বালিশ খেলার কিছু অংশ বিশেষ।
(খ) দাদুর খেলা:







দাদুর খেলার কিছু অংশ বিশেষ।

(গ) কপালে টিপ পড়ানো খেলা:







কপালে টিপ পড়ানো খেলার কিছু অংশ বিশেষ।














কপালে টিপ পড়ানো খেলার আরো কিছু অংশ বিশেষ।



প্রথম পুরস্কার দ্বিতীয় পুরস্কার তৃতীয় পুরস্কার
দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী বন্ধুরা:





কপালে টিপ পড়ানো খেলায় দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী: মো: জনি এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন মিরপুর বিশিল জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব আবদুল আউয়াল, চিত্রাংকনে দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী: মো: সোলেমান এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা সাকিয়া বেগম, বালিশ খেলায় দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী: সুইটি আক্তার এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) ঢাকা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুবর্ণা আক্তার রিয়া এবং দাদুর খেলায় দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী: নাজমুল এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন বিশিল জনকল্যাণ সমিতির মো: আমিনুল ইসলাম ।
তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী বন্ধুরা:





দাদুর খেলায় তৃতীয় বিজয়ী: বাতাসী খাতুন এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা সাকিয়া বেগম, চিত্রাংকনে তৃতীয় বিজয়ী: মো: সুমন এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন বিশিল জনকল্যাণ সমিতির মো: আমিনুল ইসলাম, কপালে টিপ পড়ানো খেলায় তৃতীয় বিজয়ী: মো: রাজিব এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) ঢাকা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুবর্ণা আক্তার রিয়া এবং বালিশ খেলায় তৃতীয় বিজয়ী: মো: রুবেল এর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন বিশিল জনকল্যাণ সমিতির মো: আজিজুল হক ।
পুরস্কার বিজয়ীদের গ্রুপ ছবি




দাদুর খেলায় বিজয়ী তিন বন্ধু, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ী তিন বন্ধু, বালিশ খেলায় বিজয়ী তিন বন্ধু, কপালে টিপ পড়ানো খেলায় বিজয়ী তিন বন্ধু।

মিরপুর বিশিল জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব আবদুল আউয়াল, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর পরিচালক জনাব দিদারুল ইকবাল, ঢাকা শাখার সভাপতি তাছলিমা আক্তার লিমা, সাধারণ সম্পাদক সুবর্ণা আক্তার রিয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা সাকিয়া বেগম, বিশিল জনকল্যাণ সমিতির মো: আমিনুল ইসলাম এবং মো: আজিজুল হক বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন । পুরস্কার বিতরণ শেষে গ্রুপ ছবি তোলা হয় এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিশুর মাঝে খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তী করা হয় । v


blog comments powered by Disqus
তিব্বতের লাখ লাখ কৃতদাসের মুক্তি পাওয়ার
৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে উদযাপনী সভা অনুষ্ঠিত

ইয়ু কুয়াং ইউয়ে, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: ৫০ বছর আগে তিব্বতে চালানো গণতান্ত্রিক সংস্কারকে স্মরণের জন্য এ বছরের জানুয়ারী মাসে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গণ কংগ্রেস প্রতি বছরের ২৮ মার্চকে 'তিব্বতের লাখ লাখ কৃতদাসের মুক্তি দিবস' নির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদন করে। ২৮ মার্চ শনিবার সকালে প্রথম 'তিব্বতের লাখ লাখ কৃতদাসের মুক্তি দিবস' উদযাপনী সভা লাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কমিটির সম্পাদক চাং ছিং লি বলেছেন, গত ৫০ বছরে তিব্বতে আকাশ পাতাল পরিবর্তন হয়েছে। জনগণ সুখী জীবনযাপন করতে পারছেন। ভবিষ্যতে তিব্বতের অর্থনীতির উল্লম্ফন উন্নয়ন অব্যাহতভাবে ত্বরান্বিত হবে। ২০২০ সালের মধ্যে তিব্বতের সার্বিক সচ্ছল সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়িত হবে।
তিব্বতের বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন মহলের ১৩ হাজার প্রতিনিধি উদযাপনী সভায় উপস্থিত ছিলেন। লাখ লাখ মুক্তি পাওয়া কৃতদাসের প্রতিনিধি হিসেবে ৬৯ বছর বয়সী সোন্দ্রে সভায় অতীতে তার নিজের দুঃখজনক জীবনের কথা স্মরণ করে বলেছেন, 'পুরনো তিব্বতে আমার মতো অসংখ্য কৃতদাস বংশপরম্পরায় মালিকদের নিষ্ঠুর শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলো। আমরা ভিজে ও স্যাতসেতে নোংরা ছোট্ট ঘরে, এমন কি গো শালা ও অশ্বশালায় থাকতাম। বিভিন্ন মন্দির বা অভিজাত সম্প্রদায়ের বাসায় তারা ইচ্ছে মত নিজস্ব আদালত প্রতিষ্ঠা করতো। তারা বর্বরোচিতভাবে নিপীড়নের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৃতদাসদের চোখ, জিহবা বা হাত পা কেটে ফেলতো।'
তখন তিব্বতের মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশেরও কম কৃতদাসদের মালিক তিব্বতের উত্পাদিত সম্পদের সবটাই দখল করে নিত। কিন্তু মোট জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশেরও বেশি কৃতদাস ছিলো সমাজের সবনিম্ন স্তরের মানুষ। তাদের হাতে উত্পাদিত সম্পদের কানাকড়িত থাকতো না। স্বাধীনতা ছিল না। ছিল না এতটুকু প্রাণের নিশ্চয়তাও।
১৯৫১ সালে চীনের কেন্দ্রীয় গণ সরকার তিব্বতের স্থানীয় সরকারের সঙ্গে 'শান্তিপূর্ণ উপায়ে তিব্বতকে মুক্তি করা সংক্রান্ত চুক্তি' স্বাক্ষর করলে তিব্বতের শান্তিপূর্ণ মুক্তি বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদের সমর্থনে ১৯৫৯ সালে তিব্বতের উর্ধতন শাসক গোষ্ঠী প্রকাশ্যে চুক্তিটি ছিঁড়ে ফেলে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় সরকার তার সঙ্গে বিদ্রোহ দমন করার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক সংস্কারের আন্দোলন চালু করে এবং আমূলভাবে রাজনীতি ও ধর্মের সমন্বয়ে সামন্ততান্ত্রিক কৃতদাস প্রথা উচ্ছেদ করে। ২৮ মার্চ হচ্ছে গণতান্ত্রিক সংস্কারের শুরুর তারিখ।
গণতান্ত্রিক সংস্কারের কারণে লাখ লাখ কৃতদাস মুক্তি পেয়ে নতুন জীবন লাভ করেছেন। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পার্টি কমিটির সম্পাদক চাং ছিং লি বলেছেন, 'সামন্ততান্ত্রিক কৃতদাস প্রথাকে সম্পূর্ণরূপে কবর দেয়া এবং তিব্বতের লাখ লাখ কৃতদাসদের পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া হচ্ছে বিশ্বের কৃতদাস প্রথা বাতিল আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ব্রতের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মানবাধিকার ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও চীনা জনগণের সৃষ্ট মহান অবদান। তিব্বতের উন্নয়নের ইতিহাসে, চীনের আধুনিক ইতিহাসে ও মানবজাতির সামাজিক উন্নয়নের ইতিহাসে এর যুগান্তকারী তাত্পর্য রয়েছে।'
আগের কৃতদাস সোন্দ্রে বলেছেন, '৫০ বছরে আমাদের স্বদেশের আকাশ পাতাল পরিবর্তন ঘটেছে। জনসাধারণের জীবন দিনে দিনে সমৃদ্ধি হয়ে যাচ্ছে। এখন সড়কপথ আমাদের বাড়ির সামনে নির্মিত হয়েছে। টেলিভিশন ও টেলিফোন আমাদের বাসায় প্রবেশ করেছে। শিশুরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। প্রতিটি পরিবার নতুন বাড়ি নির্মাণ করেছে এবং ব্যাংকে তাদের নিজের আমানত রয়েছে।' ২০০৮ সালে তিব্বতের জিডিপি প্রায় ৩৯.৬ বিলিয়ন ইউয়ান রেনমিনপি। ১৯৫৯ সালের তুলনায় তা ৬৫ গুণ বেড়েছে। জীবন ও চিকিত্সার মান উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় জনসাধারণের গড়পরতা আয়ু অতীতের ৩৬ বছর থেকে বেড়ে এখন ৬৭ বছর হয়েছে। তিব্বতের সংস্কৃতিও যথাযথভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে পোতালা প্রাসাদসহ নানা সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের মেরামত ও রক্ষা করেছে। তিব্বতী বিদ্যার ওপর গবেষণা কাজও অভূতপূর্ব বিকশিত হয়েছে।
উদযাপনী সভায় তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পার্টি কমিটির সম্পাদক চাং ছিং লি বলেছেন, তিব্বতের ভবিষ্যত মুখী আরো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা হলো ২০২০ সালের মধ্যে সার্বিক সচ্ছল সমাজ গড়ে তোলা। চীনের শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সময় তিব্বতে মোটামোটি আধুনিকায়ন বাস্তবায়িত হবে। চাং ছিং লি আরো বলেছেন, দালাই গোষ্ঠীর সঙ্গে সংগ্রাম জাতিগত সমস্যা নয়, ধর্মীয় সমস্যা নয় বা মানবাধিকার সমস্যাও নয়। এটা হলো দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূভাগের অখন্ডতা রক্ষা করার সংগ্রাম। বিভিন্ন জাতির জনগণের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের বিচ্ছিন্নদাবাদী তত্পরতা রোধ করতে হবে এবং তার ওপর আঘাত হানতে হবে এবং দেশের নিরাপত্তা ও তিব্বতের স্থিতিশীলতাকে রক্ষা করতে হবে।
J রেডিও কুইজ কর্ণার J

চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগ:
এপ্রিল মাসের কুইজ প্রতিযোগিতার বিজ্ঞপ্তি: সুপ্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা, আমাদের অকৃত্তিম শুভেচ্ছা আপনাদের জন্য। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, আপনাদের অনুরোধে আমরা চলতি এপ্রিল মাস থেকেই নতুন একটি কুইজ প্রতিযোগিতা শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা প্রতিযোগিতার ফলাফল পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা করবো। প্রতিযোগিতায় সঠিক উত্তরদাতা তিনজনকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। সঠিক উত্তর দাতার সংখ্যা বেশি হলে লটারীর মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ তিনজনকে বাছাই করা হবে।
আমাদের কুইজ প্রতিযোগিতার বিষয় তিব্বত। তিব্বতের ওপর দু'টো প্রশ্ন রয়েছে। সঠিক উত্তর অবশ্যই প্রতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে আমাদের কাছে চিঠিতে অথবা ই মেইলে পৌছাতে হবে। আমাদের বিশ্বাস , আপনাদের আন্তরিক অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতাই প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
ক) কোন সালে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে গণতান্ত্রিক সংস্কার চালু হয়?
১) ১৯৫০ সাল ২) ১৯৫৩ সাল ৩) ১৯৫৮ সাল
খ) তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানীর নাম কী?
১) লাসা ২) নানচিন ৩) উরমুজ
বাংলাদেশে: চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগ, জিপিও বক্স নং- ৬১০৫, গুলশান, ঢাকা- ১২১২
সরাসরি: Bengali Section (CRI-11), China Radio International, P.O. Box- 4216, Beijing- 100040, China. ই-মেইল: ben@cri.com.cn
ডয়চে ভেলে, বাংলা বিভাগ:
এপ্রিল মাসের ধাঁধা প্রতিযোগিতা: আইপিএল ক্রিকেট প্রতিযোগিতা কোন দেশে অনুষ্ঠিত হবে? - ইংল্যান্ড, - দক্ষিণ আফ্রিকা, - শ্রীলংকা
উত্তর পাঠিয়ে দিন ডয়চে ভেলের ঠিকানায় ৩০ এপ্রিলের মধ্যে৷ বিজয়ীদের জন্য রয়েছে একটি গ্রুন্ডিগ ও দুটি ছোট রেডিও৷ বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে লটারীর মাধ্যমে৷ উত্তর পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানায় ঢাকা নতুন দিল্লী অথবা বন৷
বাংলাদেশে: P.o. Box- 2170, Dhaka- 1000.
ভারতে: P.o. Box- 5211, Chanakyapuri, New Delhi 110021
জার্মানি: 5311 Bonn, Germany
ই-মেলের -এর মাধ্যমেও পাঠাতে পারেন উত্তর: bengali@dw-world.de

রেডিও জাপান বাংলা বিভাগ:
মার্চ’২০০৯ এর কুইজ এবং সম্ভাব্য উত্তর: সঠিক উত্তর ৩০শে এপ্রিল’২০০৯ এর মধ্যে পাঠাতে হবে। ১) কোন জাপানী চলচ্চিত্র এ বছর বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে অস্কার পুরস্কার লাভ করেছে? ক) ওকুরিবিতো, খ) হোতারু-নো-হাকা, গ) টাইটানিক
২) জাপানের একজন সাবেক খেলোয়াড়, তাঞ্জানিয়ায় হতাশাগ্রস্ত শরণাথীদের আনন্দ-উৎসাহ প্রদানের জন্য জানুয়ারী মাসে বিশেষ কোন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন? ক) ফুটবল, খ) ক্রিকেট, গ) রিলে দৌড়।
বাংলাদেশে: বাংলা বিভাগ, রেডিও জাপান, জিপিও বক্স নম্বর ২৯৫৯, ঢাকা-১০০০
ভারতে: Bengali Service, Radio Japan NHK, New Delhi Office, Sixth Floor, Meridian Commercial Complex, Eight Windsor Place, Janpath, New Delhi 110001. ই-মেইল: nhkworld@nhk.jp
সরাসরি: Bengali Service, Radio Japan, NHK, Tokyo 150-8001, Japan.
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে
ডয়চে ভেলে এবং শ্রোতা সংগঠকদের মধ্যে মোবাইল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

তাছলিমা আক্তার লিমা, ঢাকা থেকে : বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গত ২৬ শে মার্চ ২০০৯ রাত ৮ টায় ডয়চে ভেলে এবং শ্রোতা সংগঠকদের মধ্যে এক মোবাইল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ থেকে মোবাইল কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন শ্রোতাদের যোগাযোগের অনুষ্ঠান মেইল বক্স-এর সম্পাদক ও ফিডব্যাক কো-অর্ডিনেটর নুরুননাহার সাত্তার এবং শ্রোতা সংগঠকদের মধ্যে থেকে অংশগ্রহন করেন, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর পরিচালক দিদারুল ইকবাল, খুলনা থেকে ডা: বিকাশ রঞ্জন ঘোষ, কিশোরগঞ্জ থেকে আশরাফুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ থেকে বিধান চন্দ্র টিকাদার, বগুড়া থেকে এম.শামসুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম থেকে আব্দুল কুদ্দুস মাষ্টার, ঢাকা থেকে মোস্তফা কামাল, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) ঢাকা শাখার সভাপতি তাছলিমা আক্তার লিমা, ঝিনাইদহ থেকে এম.বি.জামান সিদ্দিকী, রাজশাহী থেকে সালাউদ্দিন ডলার প্রমূখ। মোবাইল কনফারেন্সে অংশগ্রহনকারী সকলে মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। মোবাইল কনফারেন্সটির আয়োজন করেছেন কিশোরগঞ্জের আশরাফুল ইসলাম এবং খুলনার ডা: বিকাশ রঞ্জন ঘোষ। তারা ২৬ শে মার্চ’র পূর্বে শ্রোতাসংগঠকদের মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে এবিষয়ে অবগত করেন।

“এ্যামেচার বা হ্যাম রেডিও”

শ্রোতাবন্ধুরা ডিএক্সীং এর আরেক জগৎ “এ্যামেচার বা হ্যাম রেডিও”। এখন থেকে এই বিভাগে আমরা চেষ্টা করবো নিয়মিত “এ্যামেচার রেডিও” সম্পর্কে ধারাবাহিক ভাবে বিস্তারিত তুলে ধরতে। যেহেতু এ্যামেচারদের ভাষা ইংরেজী তাই আমরা এ্যামেচার রেডিও কার্যক্রমের পর্ব গুলি ইংরেজীতে তুলে ধরছি। আজ তুলে ধরা হলো এর প্রথম পর্ব। গ্রন্থনায়: দিদারুল ইকবাল
আজকের বিষয়:
এ্যামেচার রেডিও কি বা
What is Amateur Radio
Amateur Radio or Ham Radio is a community of people that use Radio transmitters and receivers to communicate with other Amateur Radio Operators. It is a non-commercial, non-profit Radio service, friendly, hi-tech hobby enjoyed by about 3 million people all over the world. Hams can communicate from the top of a mountain, from home or behind the wheel of their car. They can take their radio wherever they go! In times of disaster, when regular communications Channels fail, hams can swing into action assisting emergency efforts and working with public service agencies. At other times, they can talk to a shuttle astronauts or bounce signals off the Moon. They can use Telegraphy, Voice, Digital Data, even images in communication with other hams. Amateur Radio is the gateway to the global friendship. Amateur Radio, also known as “Ham Radio” is a talented hobby or a personal means of enjoyment with the radio communication technology. People make friends over radios from one corner of the globe to other. For becoming an amateur radio operator, one does not need to be a technical person. Anyone can have this hobby and affiliation. One just needs to get a license and a call sign to operate a wireless radio. Every Amateur Radio station around the world has its own call sign, which is a set of alphabets and numbers and is unique worldwide. The person who operates the station is called a HAM.
আগামী পর্বে থাকবে এ্যামেচার রেডিও’র সূত্রপাত বা Beginning of Amateur Radio.
আন্তর্জাতিক বেতার সম্প্রচারের ওয়েব সাইট ঠিকানা


বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এই ডিজিটাল দুনিয়ায় বিভিন্ন দেশের বেতারের আন্তর্জাতিক সম্প্রচার কেন্দ্র গুলি তাদের এফ.এম এবং শর্টওয়েভ ঈথারের গন্ডি পেরিয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় তাদের আত্নপ্রকাশ করেছে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে। যেসকল আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্র গুলি অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে আজ সে সকল বেতার কেন্দ্র গুলির ওয়েব সাইটের কিছু ঠিকানা এখানে তুলে ধরা হলো। রেডিও শর্টওয়েভ এর মাধ্যমে যদি আপনার কাঙ্খিত বেতারের অনুষ্ঠান শুনতে কোন রকম সমস্যা দেখা দেয় তবে আপনি যে কোন সময় যে কোন ভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঐ বেতার কেন্দ্রের ওয়েব সাইট লগইন করে আপনার পছন্দের অনুষ্ঠানটি শুনে নিতে পারেন এবং ইচ্ছে করলে বিভিন্ন আপডেট তথ্যও দেখে নিতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন ফাইল, তথ্য, ফিচার, প্রতিবেদন বা অডিও ভিডিও ফাইলও ডাউনলোড করে নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এতে। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে লগইন করুন www.sarc97.blogspot.com এই ঠিকানায়।

International Radio Station web pages

Radio Station Name, Country/ Station Home Page
Bangladesh Betar, Bengali Service, Bangladesh

China Radio International (CRI), Bengali Service, China
www.bengali.cri.cn


Deutsche Welle (DW), Bengali Service, Germany
www.dw-world.de/bengali


Radio Tehran, Bengali Service, Iran
www.bangla.irib.ir/


NHK World Radio Japan, Bengali Service, Japan
www.nhk.or.jp/nhkworld/bengali


Radio Veritas Asia (RVA), Bengali Service, Philippines
http://www.rveritas-asia.org/


Radio Pakistan, Bengali Service, Pakistan
www.radio.gov.pk/


Voice of America, Bengali Service, USA
www.voanews.com/bangla/


Adventist World Radio (AWR), Bengali Service, USA
www.awr.org


BBC London, Bengali Service, UK
www.bbc.co.uk/bengali/


গ্রন্থনায়: তাছলিমা আক্তার লিমা, ঢাকা
রেডিও শুনুন, বিশ্বকে জানুন

বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সূচী


বেতার কেন্দ্রের নাম প্রচার সময় কিলোহার্টস
চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) সকাল: ০৮:০০-০৯:০০ ৯৬৫৫/১১৬৪০ কি.হা
সন্ধ্যা: ০৭:০০-০৮:০০
০৮:০০-০৯:০০ ৯৪৯০/৯৬০০/১১৬১০ কি.হা
ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ) সকাল: ০৭:০০-০৭:৩০ ৯৮৫৫/১৫৩৪৫ কি.হা
রাত: ০৯:৩০-১০:০০ ৬১৮০/৯৫৪০/৯৬৫৫ কি.হা
রেডিও ভেরিতাস এশিয়া (আরভিএ) সকাল: ০৬:৩০-০৭:০০ ১১৯৪৫ কি.হা
রাত: ০৮:০০-০৮:৩০ ১১৮৭০ কি.হা
ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) সকাল: ০৭:৩০-০৮:০০ ১১৭৩৫/১৫২০৫ কি.হা
রাত: ১০:০০-১১:০০ ৭২৬০/৯৩২০/১৫৭৫ কি.হা

বি.বি.সি সকাল: ০৬:৩০-০৭:০০ ৬০৬৫/৯৫৭৫/১১৭৫০ কি.হা
সকাল: ০৭:০০-০৭:৩০ ৯৫৬০/১১৯৯৫ কি.হা
সন্ধ্যা: ০৭:৩০-০৮:০০ ৯৪৩৫/৭৪৩০/৭২২৫/১১৮৩৫কি.হা
রাত: ১০:৩০-১১:০০ ৬১৩৫/৭২০৫/৯৬০৫ কি.হা
রেডিও তেহরান সকাল: ০৬:৩০-০৭:৩০ ৫৯০৫/৬১৪৫/৬১৬০ কি.হা
রাত: ০৮:৩০-০৯:৩০ ৫৯১০/৭৩৮০ কি.হা
রেডিও জাপান সন্ধ্যা: ০৭:০০-০৭:৪৫ ১৫২১৫ কি.হা

* আন্তর্জাতিক বেতার পরিচিতি *
এই বিভাগে তুলে ধরা হবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেতারের ইতিহাস এবং পরিচিতি। আজ থাকছে চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের পরিচিতি।

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অতীত আর বর্তমান
১৯৪১ সালের ৩রা ডিসেম্বর রাতে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রথম কন্ঠ ইথারে ভেসে ওঠে, তখন কেবল রোজ ১৫ মিনিটের জাপানী ভাষার অনুষ্ঠান হতো । তখন এই সংস্থার নাম ছিলো ইয়ান আন সিন হুয়া বেতার । ১৯৪৯ সালের ২৫শে মার্চ ইয়ান আন সিন হুয়া বেতার চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং গণ মুক্তি ফৌজের সদর দপ্তরের সঙ্গে বেইপিং অর্থাত্ বর্তমান বেইজিংয়ে স্থানান্তরিত হয়েছে, এবং সঙ্গে সঙ্গে বেতারের নামও বদলে বেইপিং সিনহুয়া বেতার হয়েছে । একই বছরের ২৭শে সেপ্টেম্বর এর নাম আবার বদলে হয়েছে বেইজিং সিনহুয়া বেতার । চীনের বৈদেশিক বেতার ব্রতের সত্যিকার উন্নয়ন শুরু হয়েছে নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর । ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বেইজিং সিনহুয়া বেতারের নাম বদলে কেন্দ্রীয় গণ বেতার হয়েছে । সেই বছরে বেইজিং বেতারে ১১টি বিদেশী ভাষার অনুষ্ঠান প্রচারিত হয় ।
এখন চীন আন্তর্জাতিক বেতার বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশে মোট ২৭টি ব্যুরো অফিস খুলেছে, এবং চীনের হংকং, ম্যাকাও সহ বিভিন্ন প্রদেশে এর প্রতিনিধি অফিস প্রতিষ্ঠিত আছে । সি আর আইয়ের উদ্দেশ্য হলো চীনের জনগণ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের মধ্যকার সমঝোতা এবং মৈত্রী বাড়ানো ।বর্তমানে সি আর আই থেকে ৩৮টি বিদেশী ভাষা এবং চীনের ম্যানডারিন ভাষা ও অন্য চারটি আঞ্চলিক ভাষা মিলিয়ে মোট ৪৩টি ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে । এবং বেতার কার্যক্রম ছাড়াও ইন্টারনেটে আমাদের চীনা ভাষা সহ মোট ৩৯টি ভাষার ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এ সব ওয়েবসাইটে বিগত এক সপ্তাহের অনুষ্ঠান শোনা যায় ।


চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের কর্মী বৃন্দের সাথে পরিচালক মাদাম ইয়ু কুয়াং য়ুএ (সর্ব মাঝে)।

১৯৬৮ সালের আগস্ট মাস থেকে বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারের প্রস্তুতি কাজ শুরু হয় । তখনকার হিন্দী বিভাগের প্রধান ম্যাডাম লি লি জুন বাংলা বিভাগের দায়িত্বও পালন করতেন । ১৯৬৯ সালের ১লা জানুয়ারী বাংলা অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় । তখন থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত বাংলা বিভাগের পরিচালক ছিলেন মিঃ ফান ফু কুও । তিনি হলেন সত্যিকার অর্থে বাংলা বিভাগের প্রথম পরিচালক । এখন পর্যন্ত বাংলা বিভাগে মোট ছয় জন পরিচালক দায়িত্ব পালন করেছেন । বর্তমানে বাংলা বিভাগে দু জন বাঙ্গালী বন্ধু সহ মোট ১৯ জন কর্মকর্তা আছেন । চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের বর্তমান পরিচালক মাদাম ইয়ু কুয়াং য়ুএ। তার জন্ম চীনের পেইচিং এ। তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারে যোগ দিয়েছেন ১৯৯৫ সালে। মাদাম ইয়ু কুয়াং য়ুএ এর শখ হচ্ছে অবসরে বই পড়া, টেলিভিশনে নাটক দেখা, বাচ্চার সঙ্গে খেলা এবং কাজের মধ্যে ডুবে থাকা ইত্যাদি।

১৯৯৬ সালের ২ জুলাই সিআরআই'র পুরোনো অফিসে বাংলা বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন।

সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • পরিবর্তিত বর্তমান নাম:
    (বাংলায়) সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক)
    (ইংরেজীতে) South Asia Radio Club (SARC)
  • ক্লাবের নাম এবং মনোগ্রাম বা লোগো পরিবর্তনের জন্য জরিপ পরিচালনার তারিখ:
    ০১ জানুয়ারী’২০০৮ সাল থেকে ১৫ই ফেব্রুয়ারী’২০০৮ তারিখ পর্যন্ত।
  • সার্ক এর মনোগ্রাম বা লোগো:
  • সার্ক মনোগ্রামের ডিজাইনার:
    মোহাম্মদ দিদারুল আলম (দিদারুল ইকবাল)
  • সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর অফিসিয়েল কার্যক্রম শুরু:
    ১৮ই ফেব্রুয়ারী-২০০৮ সাল।
  • পরিবর্তিত পূর্বের নাম:
    ওয়ার্ল্ড রেডিও ডিএক্স-লিসনার্স ক্লাব বাংলাদেশ (ডব্লিউ.আর.ডিএক্স.এল.সি.বি)
  • যে নামে ক্লাবের প্রথম যাত্রা শুরু:
    ওয়ার্ল্ড রেডিও ডিএক্স-লিসনার্স ক্লাব, চট্টগ্রাম (ওরেডিলিকা)
  • ক্লাব প্রতিষ্ঠার তারিখ:
    ০১ অক্টোবর-১৯৯৭ সাল
  • ওরেডিলিকা এর মনোগ্রাম বা লোগো:
  • ওরেডিলিকা মনোগ্রাম বা লোগোর ডিজাইনার:
    মোহাম্মদ দিদারুল আলম (দিদারুল ইকবাল)
  • ক্লাবের প্রথম সদস্য সংখ্যা:
    ২ (দুই) জন
  • প্রথম দুই সদস্য:
    মোহাম্মদ দিদারুল আলম (দিদারুল ইকবাল),
    ঠিকানা: উত্তর পূর্ব হরিশপুর, সন্ধীপ, চট্টগ্রাম-৪৩০০। এবং
    এম.ফোরকান,
    ঠিকানা: ফতেয়াবাদ, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
  • যেখান থেকে ক্লাবের প্রথম যাত্রা:
    সিগন্যাল ইন্সপেক্টর অফিস, সিগন্যাল কেবিন,
    বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম-৪০০০, বাংলাদেশ।
  • ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক:
    মোহাম্মদ দিদারুল আলম ওরফে দিদারুল ইকবাল
  • বেতারের প্রতি প্রথম আকর্ষণ:
    দিদারুল ইকবাল এর বয়স তখন ৪ কি ৫ বছর। বাবার এক ব্যান্ডের সাদা রঙের একটি রেডিও নিয়ে প্রতিদিন গলায় ঝুলিয়ে ছোট বোনদের সাথে খেলাধূলা করলেও তখন বেতারের গুরুত্ব সম্পর্কে তেমন কোন ধারণায় ছিলোনা। তবে ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল প্রলঙ্ককারী ঘূর্ণিঝড় এর মহাবিপদ সম্পর্কে বাংলাদেশ বেতার থেকে প্রচারিত রাত ১২টা কি ১২:৩০ টার সময় বিশেষ সংবাদ শুনছিলেন জেঠাতো ভাই এর তিন ব্যান্ডের ন্যাশনাল রেডিওতে। বিশেষ খবরের শেষ কথাটি ছিলো বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি এখন বাংলাদেশের উপকূলীয় দ্ধীপ গুলিতে আঘাত হানছে উপকূলীয় অঞ্চলের সকল জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। খবর শেষ হতে না হতেই দিদারুল ইকবাল কৌতহল বশত বারান্দার পিছনে তাকিয়ে দেখেন তাদের ঘরের ভেতরে সাগরের পানি ধেয়ে আসছে। তখন তার চিৎকারে পরিবারের সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন জীবন বাচানোর জন্য। আর ঐ সময় বাংলাদেশ বেতার থেকে প্রচারিত বিশেষ খবরটি তাকে প্রচন্ড ভাবে আলোড়িত করে। বলা যায় তখনি তিনি বেতার বা রেডিও’র প্রতি দূর্বল হয়ে পরেন। যা তার জীবনের একমাত্র সঙ্গী বা বিপদের বন্ধু হিসেবে স্থান করে নেয়। কারণ বেতারের সতর্ক সংবাদটিই তার পরিবারের সকলকেই জীবন রক্ষার পথ দেখিয়ে দেয়। কেননা তার পরিবারের সকলেই সংবাদ শুনার পর মহা বিপদের কথা আচ করতে পেরে ঘরের ভেতর থেকে বের হয়ে ঘরের টিনের চালায় আশ্রয় নেন এবং নিশ্চিত মৃত্যূর হাত থেকে সেদিন বেচে যান। ভোরের দিকে বন্যার পানি নেমে গেলে তারা দেখতে পান ঐ ঘরের ভেতর পাশের বাড়ীর প্রায় ১৫ জন লোক মৃত অবস্থায় আটকা পরে রয়েছে যাদের মধ্যে নারী, শিশু, বৃদ্ধা, যুবক রয়েছে। সেই থেকে বেতারের সাথে তার নিভিড় একটা সম্পর্ক বা প্রেম গড়ে উঠে।
  • বেতারের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার স্বপ্ন:
    ১৯৯১ সাল থেকে দিদারুল ইকবাল নিয়মিত বেতার শুনা শুরু করলেও বেতার কার্যক্রমের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার স্বপ্ন তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি। এমনকি প্রধান শখ হিসেবেওনা। কিন্তু বর্তমানে বেতার কার্যক্রম এবং তার মধ্যকার যে সম্পর্ক তা তাকে বিস্মিত করে।
  • বেতার সংগঠন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন যেভাবে হয়: অভ্যন্তরিন ও আন্তর্জাতিক বেতারের সাথে অনিয়মিত ভাবে চিঠি পত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ থাকলেও বেতার সংগঠন প্রতিষ্ঠার সাহস, পরিকল্পনা বা মনোভাব কখনোই ছিলোনা দিদারুল ইকবাল’র। কারণ যারা বিভিন্ন বেতারে নিয়মিত চিঠিপত্র লিখে যোগাযোগ রাখছে এই ধরনের কোন শ্রোতার সাথে তার পরিচয় বা সম্পর্ক তখনো ছিলোনা। ১৯৯৭ সাল। চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ টেকনিক্যালে পরিচয় হয় বেতার শ্রোতা হাটহাজারী ফতেয়াবাদের এম.ফোরকানের সাথে। শুরু হয় দুজনের মধ্যে বেতার সখ্যতা। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এমন পর্যায়ে তৈরী হয়েছে যে প্রতিদিনের আড্ডায় বিভিন্ন বেতারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা না করলেই যেন দুজনের রাত ও দুপুরের ভাত হজম হতোইনা। এবার অন্যরকম সম্পর্ক। দুজনেই এত ঘনিষ্ঠ হয়েছিলো যে শুরু হয় উভয়ের বাসায় আসা যাওয়া। সম্পর্ক যখন অনেক গভীরে তখন বেতার সংগঠন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দিদারুল ইকবাল এর চিন্তা ধারা পাল্টে যায়। তিনি এম.ফোরকানের কাছে প্রস্তাব রাখলেন চট্টগ্রামে অবস্থিত যত বেতার শ্রোতা রয়েছে তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করে চট্টগ্রাম শহরে একটি বেতার সংঘ প্রতিষ্ঠা করবেন। যেই কথা সেই কাজ। খুজে বের করা হলো ৪/৫ জন বেতার শ্রোতা বন্ধুকে। বিশ্ব ব্যাপী বেতারের গুরুত্ব ও তার জনপ্রিয়তা সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতে সেই সাথে বেতারকে সু-সময় ও দূ৪সময়ের প্রধান বা একমাত্র বিশ্বস্ত বন্ধু বা গণমাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করতে এবং আধুনিক যুগেও বেতার বিপ্লব ঘটানোর অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর সর্ব প্রথম বন্দর নগরীতে দিদারুল ইকবাল প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ার্ল্ড রেডিও ডিএক্স-লিসনার্স ক্লাব, চট্টগ্রাম (ওরেডিলিকা)। শুরু হয় বাংলাদেশ বেতার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেতারের সাথে “‍ডিএক্সীং সেতুবন্ধন”। এই বেতার সংগঠন প্রতিষ্ঠায় দিদারুল ইকবাল এর অন্যতম সহযোগী বন্ধু ছিলেন চট্টগ্রাম হাটহাজারী থানার এম.ফোরকান ও উজ্জল দাশ। প্রাথমিক অবস্থায় এই সংগঠনের কার্যক্রম শুধুমাত্র চট্টগ্রাম শহর ভিত্তিক শুরু করা হয় কিন্তু ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে সংগঠনের ব্যাপকতা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পরলে পরে তা “ওয়ার্ল্ড রেডিও ডিএক্স-লিসনার্স ক্লাব বাংলাদেশ” বা WRDXLCB নামে তার কার্যক্রম শুরু করে। শুরু হয় ক্লাবের জেলা, থানা, ইউনিয়ন, গ্রাম, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক কার্যক্রম। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে WRDXLCB’র শাখা প্রশাখার পরিধি। বিগত এক দশকে WRDXLCB তার সাংগঠনিক আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রোতাদের পাশাপাশি সমাজের নিন্মবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সকলের কাছাকাছি যেতে এবং সাংগঠনিক বার্তা পৌছে দিতে চেষ্টা করেছে। WRDXLCB’র সাংগঠনিক কার্যক্রম গুলি সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে তাদের কাছে যাতে আরো সহজ ও সরল ভাবে যেতে পারে এবং বাংলাদেশের বাহিরেও সংগঠনিক কর্মপরিধির বিস্তার ঘটাতে পারে সেই লক্ষ্যে WRDXLCB’র বর্তমান নাম ও মনোগ্রাম বা লোগো পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেহেতু এটি একটি বেতার সংগঠন এবং শ্রোতারাই এই সংগঠনের প্রাণ তাই গত ০১ জানুয়ারী’২০০৮ থেকে বিশেষ এক জরিপের মাধ্যমে শ্রোতাদের অংশগ্রহণ ও পছন্দের আনুপাতিক হার নির্ণয় করে নতুন নাম ও মনোগ্রাম নির্বাচন করা হয়। ফলে এখন WRDXLCB’র পরিবর্তিত নতুন নাম “সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক)” নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আগামীর পথে। “সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক)” তার পূর্বের সাফল্যের ধারকে সমুন্নত রেখে অপার সম্ভাবনাকে জয় করার লক্ষ্যে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী’২০০৮ তারিখ থেকে তার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করে। “সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক)” তার ব্যানারে বাংলাদেশ থেকে যে কার্যক্রম শুরু করেছে তা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পরবর্তিতে এশিয়া মহাদেশে এভাবে পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর প্রতিটি মহাদেশে তার সাংগঠনিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চাই বা এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।
  • সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর সাংগঠনিক কার্যক্রমের এলাকা সমূহ:
    > শহর, > উপশহর, > থানা, > স্কুল, > কলেজ,
    > বিশ্ববিদ্যালয়, > ইউনিয়ন, > গ্রাম, > চর,
    > সমুদ্র উপকূলীয়, > নদী উপকূলীয়, > পার্বত্য অঞ্চল
  • সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর সাংগঠনিক কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: ১) বেতারের শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা, ২) বাংলাদেশের সর্বত্র অঞ্চলভিত্তিক শ্রোতা জরিপের মাধ্যমে শ্রোতা সংখ্যা বাড়ানো, ৩) শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি, সমাজসেবা প্রভৃতি ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্বদের জীবনী ও তাদের সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরা এবং সংবর্ধনা দেওয়া, ৪) বাঙ্গালীর অহঙ্কার মুক্তিযুদ্ধে বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা তুলে ধরা, ৫) বেতারের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি তথা সার্বিক উন্নয়নে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, মেলা প্রদর্শনী, লোকজ মেলার আয়োজন করা, ৬) বেতার ডিএক্সীং কর্মকান্ডে নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রতিভা বিকাশ ও উন্নয়নে সাহায্য করা, ৭) নবীণ শ্রোতাদের বেতারে চিঠিপত্র লেখার নিয়মাবলী সম্পর্কে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা এবং নতুন নতুন ডিএক্সার সৃষ্টি করা, ৮) বাৎসরিক শ্রোতা জরিপের পর শ্রোতা সম্মেলনের আয়োজন করা, ৯) প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে বুলেটিন, সাময়িকী, পত্রিকা, ম্যাগাজিন ইত্যাদি প্রকাশ করা, ১০) বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞানের উন্মেষ ঘটানোর জন্য বিভিন্ন কুইজ, রচনা, বই পড়া, কবিতা লিখা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং সৃজনশীল মেধা বিকাশের জন্য চিত্রাংকন, ক্রীড়া, সংগীত, নৃত্য, অভিনয় ইত্যাদি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা, ১১) সামাজিক বা বিভিন্ন মানবসেবামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, যেমন- সেচ্চায় রক্তদান, গণশিক্ষা, নারী ও শিশু শিক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য সেবা, স্কাউটিং, বিভিন্ন দূযোর্গপূর্ণ এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করণ এবং সনদপত্র বিতরণে সহযোগিতা, বৃক্ষরোপন, গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম যেমন- এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ, এসিড নিক্ষেপ প্রতিরোধ, যৌকুত প্রথা প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার বন্ধ, ঝুকিপূর্ণ শিশু শ্রম বন্ধ, ধূমপান ও মাদকের বিরুদ্ধে না, পরিবেশ রক্ষা ইত্যাদি, এছাড়া প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা, যেমন- ২ জানুয়ারী বিশ্ব জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস, ১লা মে বিশ্ব শ্রমিক দিবস, ১৫ই মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস, ২৬শে মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস, ২৮শে মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, ১১ই জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস, ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস, অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস, ২৫শে নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস, ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস, ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস এবং ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস ছাড়াও অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব পালন করা ইত্যাদি।
  • রেডিও ক্লাবের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যারা বিভিন্ন সময়ে উপস্থিত ছিলেন এবং ক্লাবের কর্মকান্ড পরিদর্শন করেছেন: বাংলাদেশ সরকারের সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রি মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম.মহিউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত মি.চাইশি, চীনাদূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সেলর মাদাম রেনশিওঝি, মহাসচিব ইয়াওপলাই, এটাশি মিস জিন, চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের পরিচালক মাদাম ইয়ু কোয়াং য়ুএ, উপ-পরিচালক চিয়াং চিং ছেং, সি.আর.আই.লিসনার্স ক্লাব বাংলাদেশ এর মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলু, বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক নারায়ন চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মমতাজ আলী খান, বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক জুলফিকার কোরাইশি, বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রকৌশলী আবু তাহের রায়হান, এ্যাডভেন্টিস্ট ওয়ার্ল্ড রেডিও আশার বাণীর পরিচালক স্বপিন বনোয়ারী এবং বার্ণাড অসিম বৈদ্য, প্রযোজক ফিলিপ পান্ডে, টেকনিশয়ান ববি সরকার, দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক, চট্টগ্রামের দৈনিক কর্নফুলীর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মাহাবুবুল মাওলা রিপন, চট্টগ্রাম হালিশহর নজরুল সঙ্গীত নিকেতনের পরিচালক ও বাংলাদেশ রেডিও টেলিভিশনের তালিকাভূক্ত সঙ্গীত শিল্পী আফতাব উদ্দিন ডিকেন্স, সাপ্তাহিক আলোকিত চট্টগ্রামের সম্পাদক জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রামের মাসিক সোনালী সন্ধীপ পত্রিকার সম্পাদক সাহাদাত হোসেন আশরাফ, লায়ন্স ক্লাব অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম জেলার জোন চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার ছিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, লায়ন মোহাম্মদ হোসেন, মিসেস ফেরদৌস আরা, বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্টের ম্যানেজার এলিস্টার লসন, বিবিসি বাংলা বিভাগের মার্কেটিং ম্যানেজার ফজলুল হক বাবু প্রমূখ।
















ডিএক্সীং নিউজ সম্পাদকীয় বোর্ড

ডিএক্সীং নিউজ সম্পাদকীয় বোর্ড

সম্পাদক ও প্রকাশক : দিদারুল ইকবাল
সহকারী সম্পাদক : এডভোকেট কালাম উল্লাহ সুমন, সাঈমা পলাশ,
মো: নুরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান
নির্বাহী সম্পাদক : তাছলিমা আক্তার লিমা
অনলাইন সম্পাদক : মহসীন চৌধুরী
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : জোবেদা রিনা
গাজীপুর প্রতিনিধি : মো: শহীদুল কায়সার লিমন
ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি : মো: কবীর হোসেন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : মনিরুজ্জামান মনির, সোহেল রানা হূদয়,
বিপ্লব কুমার অধিকারী
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : বাদল চন্দ্র সাহা, এম.এ.আমীন গোলাপ

চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ 'লাসা শহরের সাধারণ নকশা' এর জবাব দিয়েছে

চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ
'লাসা শহরের সাধারণ নকশা' এর জবাব দিয়েছে
ইয়ু কুয়াং ইউয়ে, চীন আন্তর্জাতিক বেতার # চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ ১২ মার্চ তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গণ সরকারের দাখিল করা সংশোধিত '২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লাসা শহরের সাধারণ নকশা' মৌলিকভাবে সম্মত করার জবাব দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় পরিষদের জবাবে বলা হয়েছে, লাসা শহর হচ্ছে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী। ধাপে ধাপে লাসাকে সমৃদ্ধ অর্থনীতি, সুষম সমাজ ও সুষ্ঠু প্রকৃতি, স্পষ্ট ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ও গভীর জাতিগত দৃশ্য সম্পন্ন আধুনিক শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
জবাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, 'লাসা শহরের সাধারণ নকশা'-এ নির্ধারিত ১৪৮০ বর্গকিলোমিটার শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলকে ঐক্যবদ্ধ পরিকল্পনা ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ২০২০ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহরাঞ্চলের জনসংখ্যা ৪ লাখ ৫০ হাজারের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত হবে। জবাবে আরো নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আইনানুসারে প্রয়োজনীয় ধর্মীয় স্থান রক্ষা করতে হবে এবং ধর্মাবলম্বী জনসাধারণের ধর্মীয় জীবনের চাহিদা মেটাতে হবে। (ইন্টারনেট থেকে)

প্রবাসী চীনারা ও বন্ধুভাবাপন্ন বিভিন্ন সংস্থা 'তিব্বতের লাখ লাখ কৃতদাসের মুক্তি দিবস' উদযাপন করেছে

প্রবাসী চীনারা ও বন্ধুভাবাপন্ন বিভিন্ন সংস্থা
'তিব্বতের লাখ লাখ কৃতদাসের মুক্তি দিবস' উদযাপন করেছে
ইয়ু কুয়াং ইউয়ে, চীন আন্তর্জাতিক বেতার # ২৮ মার্চ হচ্ছে প্রথম 'তিব্বতের লাখ লাখ কৃতদাসের মুক্তি দিবস'। সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রবাসী চীনা, চীনের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন বিভিন্ন সংস্থা নানা পদ্ধতিতে তিব্বতী জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব আমেরিকা চীনা কমিউনিটি ফেডারেশন ২৭ মার্চ নিউইয়র্কে এক আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করে তিব্বতের অতীত ও বর্তমানের বিরাট পরিবর্তনের দিকটিকে সবার সামনে তুলে ধরেছে। দর্শকরা আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখার পর বলেছেন, তিব্বতের স্বদেশবাসীরা চীনের বড় পরিবারে আরো বেশি সুন্দর জীবন কাটাচ্ছেন।
শ্রীলংকা-চীনা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমিতিসহ চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সংস্থা এবং অনেক সরকারী কর্মকর্তা ২৮ মার্চ শ্রীলংকায় চীনা দূতাবাসের কাছে অভিনন্দন চিঠি পাঠিয়েছে। অভিনন্দন চিঠিতে তারা লিখেছেন, তারা তিব্বতের গণতান্ত্রিক সংস্কার চালু করার ৫০ বছরে অর্জিত বিরাট সাফল্য দেখে আনন্দ বোধ করেন। তারা দৃঢ়তার সঙ্গে দালাই গোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদী তত্পরতার বিরোধিতা ও তার তীব্র নিন্দা করে।
নাইজেরিয়ার প্রবাসী চীনারা ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বলেছেন, পশ্চিম আফ্রিকা ও নাইজেরিয়ার প্রবাসী চীনারা ৫০ বছরে তিব্বতের উন্নয়নের জন্য উত্সাহিত। তিব্বতের লাখ লাখ কৃতদাসের মুক্তি পাওয়া হচ্ছে চীন ও বিশ্বের মানবাধিকারের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। (ইন্টারনেট থেকে)

তিব্বতের রাজা সোংত্সান গামবো ও রাজকুমারী ওয়েংছেং

তিব্বতের রাজা সোংত্সান গামবো ও রাজকুমারী ওয়েংছেং
পাই খাই ইউয়ান, চীন আন্তর্জাতিক বেতার # খ্রীষ্টিয় ৬৩৪ সালের পর থাং রাজবংশের একজন রাজকুমারীকে বিয়ে করার জন্য তিনি পর পর দু'বার তাঁর বিশেষ দূত গার টংটসানকে থাং সাম্রাজ্যের রাজধানী ছাংআনে পাঠান ।
সাত বছর পর সম্রাট থাংথাই জং সোংত্সান গামবোর বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং তাঁর সংগে রাজকুমারী ওয়েংছেংয়ের বিয়ে দিতে রাজী হন ।







এক শুভদিনে থাং রাজবংশের একজন বিশেষ দূতের সমভিব্যহারে রাজকুমারী ওয়েংছেংয় রাজকর্মচারী ও সখীদের নিয়ে রাজধানী ছাংআন ত্যাগ করে দীর্ঘ যাত্রাপথে রওয়ানা হন ।
সোংত্সান গামবোর বিশেষ দূত গার টংটসান ছাংআনে গিয়ে কীভাবে সম্রাট থাংথাই জংয়ের একটার পর একটা কঠিন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছিলেন এবং কীভাবে সোংত্সান গামবোর সংগে সুন্দর ও দয়ালু রাজকুমারী ওয়েংছেংর বিয়ে দিতে রাজী করিয়েছিলেন তার উপর রচিত হৃদয়গ্রাহী গল্প এখনো তিব্বতীদের মুখে মুখে শোনা যায় ।








সোংত্সান গামবো গার টংটসানের কাছ থেকে সুসংবাদ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত । রাজকুমারী ওয়েংছেংকে বরণ করার জন্য তিনি সেনা দল নিয়ে বর্তমান ছিনহাই প্রদেশে হোয়াং হো নদীর উত্পত্তি স্থানে যান । এক নিরিবিলি হ্রদের তীরে স্থাপিত রাজপ্রাসাদে তিনি রাজকুমারী ওয়েংছেংয়ের সংগে প্রথম রাত কাটান ।
সোংত্সান গামবো ও রাজকুমারী ওয়েংছেং যথাসময় বর্তমান ছিনহাই প্রদেশের ইয়ু সু তিব্বত স্বায়ত্ত শাসিত বিভাগের ইয়ু সু এলাকায় পৌঁছান ।
সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি মনোরম এবং আবহাওয়া আরামদায়ক । তাঁরা এক উপত্যকায় প্রায় এক মাস অবস্থান করেন ।
রাজকুমারী ওয়েংছেং ও তাঁর সহচররা শস্য ও শাকসবজির বীজ বপন ,জাঁতা দিয়ে গম পেষণ এবং মদ তৈরীর কলাকৌশল স্থানীয় অধিবাসীদের শিখান। এ জন্য স্থানীয় অধিবাসীরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ ।






লাসার উদ্দেশ্যে রাজকুমারী ওয়েংছেং যখন সেখান থেকে চলে যান ,তখন তারা কৃতজ্ঞতার অশ্রু-ভরা চোখে তাকে বিদায় জানায় ।
রাজকুমারী ওয়েংছেং যেখানে তাবু খাটিয়ে থাকতেন স্থানীয় তিব্বতীরা যুগ যুগ ধরে সেই স্থান সযত্নে সংরক্ষণ করেছে । তারা রাজকুমারী ওয়েংছেংয়ের পায়ের চিহ্ন ও প্রতিকৃতি প্রকাণ্ড পাথরে খোদাই করে প্রতিবছর তা শ্রদ্ধার সংগে পুঁজা করেন ।
খ্রীষ্টিয় ৬১৮ সালে চীনের যে বিশাল থাং সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় তা অত্যন্ত শক্তিশালি । বস্তুত: থাং সাম্রাজ্য ছিল তদানীন্তন পূর্ব এশিয়ার সভ্যতার কেন্দ্র । তার আশেপাশের সংখ্যালঘু জাতিগুলো থাং রাজ দরবারের সংগে সুসম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টাকে তাদের স্বার্থের সংগে সংগতিপূর্ণ বলে মনে করতো ।প্রায় একই সময় তিব্বতের খ্যাতনামা রাজা সোংত্সান গামবো তিব্বতে তোবো রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং সক্রিয়ভাবে থাং রাজবংশের সংগে সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেন । (ইন্টারনেট থেকে)

তিব্বতের কৃতদাসদের মুক্তি পাওয়া হচ্ছে বিশ্ব দাসপ্রথা বাতিল আন্দোলনের প্রতি চীনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান

তিব্বতের কৃতদাসদের মুক্তি পাওয়া হচ্ছে
বিশ্ব দাসপ্রথা বাতিল আন্দোলনের প্রতি
চীনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান
ইয়ু কুয়াং ইউয়ে, চীন আন্তর্জাতিক বেতার # ২৮ মার্চ হচ্ছে চীনের ইতিহাসে 'তিব্বতের দশ লাখ কৃতদাসের প্রথম মুক্তি দিবস'। এটা তিব্বতী জনগণের রাজনৈতিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৫৯ সালের ২৮ মার্চ চীনের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই রাষ্ট্রীয় পরিষদের পক্ষ থেকে তিব্বতের স্থানীয় সরকার ভেঙ্গে দেয়াসহ তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রস্তুতিমূলক কমিটিকে স্থানীয় প্রশাসন চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঐ দিন থেকেই দালাই গোষ্ঠীর বিদ্রোহ দমন আর গণতান্ত্রিক সংস্কার চালু করার সঙ্গে সঙ্গে তিব্বতে ধারাবাহিক মহান পরিবর্তনের ধারা শুরু হয়। চীনের তিব্বত বিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক ইয়াং জুন চাই উল্লেখ করেছেন, তিব্বতের কৃতদাসদের মুক্তি হচ্ছে বিশ্বের দাসপ্রথা বাতিল আন্দোলনের প্রতি চীনের মহান অবদান। তিনি বলেছেন, 'তিব্বতের লাখ লাখ কৃতদাসের মুক্তি লাভ বিশ্বের দাসপ্রথা বাতিল আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে মানবজাতির সর্বশেষ দাসপ্রথার অবসান হয়েছে। এরপর পৃথিবীর এই দশ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনেরও বেশি ভূমিতে লাখ লাখ জনসংখ্যার সামন্ততান্ত্রিক কৃতদাস প্রথা প্রচলিত অঞ্চলে বিলুপ্তি ঘটে। এভাবেই মানবজাতি সমাজের সর্বশেষ রাজনীতি ও ধর্মের সমন্বয়ে পরিচালিত অনুন্নত কালো সমাজের প্রশাসনের অবসান হয়েছে। বলা যায়, এটা হচ্ছে বিশ্বের দাসপ্রথা বাতিল আন্দোলনের একটি অবিস্মরণীয় দিক। চীন দাসপ্রথা বাতিল আন্দোলনের জন্য চূড়ান্তভাবে তার সবচেয়ে বিরাট অবদান রেখেছে।'
গত ৫০ বছরে গণতান্ত্রিক সংস্কারের কারণে তিব্বতের রাজনীতি ও অর্থনীতি ক্ষেত্রে আকাশ পাতাল পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারী তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নবম গণ কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রতি বছরের ২৮ মার্চকে 'তিব্বতের লাখ লাখ কৃতদাসের মুক্তি দিবস' হিসেবে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটা হচ্ছে তিব্বতী জনগণের প্রাণের অভিন্ন উত্সব। গবেষক ইয়াং জুন ছাই মনে করেন, 'এর মাধ্যমে কৃতদাসদের বর্তমান ও ভবিষ্যত বংশধররা এ গৌরবোজ্জ্বল উত্সবকে জীবনভর হৃদয়ে লালন করতে পারবে। এর বিশেষ প্রতীকি তাত্পর্যও রয়েছে। কারণ ১৯৫৯ সালের আগে তিব্বতের কৃতদাস প্রথা ছিল অবর্ণনীয় অমানুষিকতায় ভরা। ১৯৫৯ সালে গণতান্ত্রিক সংস্কার চালু হওয়ার পর তিব্বতের কৃতদাসরা সম্পত্তি লাভের পাশাপাশি মর্যাদার অধিকারী হিসেবে স্বাধীন নাগরিক এবং নিজেরা মালিকে পরিণত হয়েছেন। তিব্বতী জনগণ বস্তুগত ও মানসিক ভারসাম্যের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে সব দিক থেকে সত্যি সত্যিই মুক্তি পেয়েছেন। এ থেকে প্রতিপন্ন হয়েছে যে, পৃথিবীর ছাদ বলে খ্যাত এ অঞ্চলটিতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।' কিন্তু বিশ্বে সবসময়ই কিছু লোক থাকে, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা তথাকথিত 'তিব্বত সমস্যা' নিয়ে বড্ড বাড়াবাড়ি করছে। বিশেষ করে গত বছরের মার্চ মাসের পর বিদেশে নির্বাসিত দালাই লামা নিরন্তরভাবে দাঙ্গাহাঙ্গামা সৃষ্টি করে ইউরোপ সফর করতে যান। কয়েকটি দেশের উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিকরা বলতে গেলে জেদ করেই দালাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন এবং গুরুতরভাবে চীনা জনগণের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছেন। ইয়াং জুন ছাই বলেছেন, 'পশ্চিমা দেশের কিছু কিছু লোক কখনোই তিব্বতে যান নি। তারা তিব্বতী জনগণের চাহিদা, তিব্বতী জনগণের জীবনযাপনের উন্নয়ন এবং তিব্বতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিকাশ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তারা তিব্বত সমস্যা সম্পর্কে কেবল দালাইয়ের একতরফা কথা শুনে বা চীন বিরোধী শক্তির সঙ্গে যৌথভাবে তিব্বতের আসল সত্যকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। অন্য দিকে, পশ্চিমা দেশের কিছু উদ্দেশ্য প্রণোদিত রাজনীতিক বা ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ইচ্ছে মতো তিব্বত উন্নয়নের সত্যকে অস্বীকার করছেন এবং তিব্বতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ওপর যা তা বলে বেড়াচ্ছেন। আমি মনে করি, তিব্বতকে ন্যায়সংগত খোলা চোখে দেখা হচ্ছে তিব্বতের মানবাধিকার রক্ষার চূড়ান্ত প্রতিফলন।' চীনের তিব্বত বিদ্যা বিশেষজ্ঞরা পশ্চিমা দেশগুলোর মানুষকে তিব্বতে গিয়ে স্থানীয় প্রথা উপভোগ করা এবং স্বচোখে তিব্বতের ৫০ বছরের সংস্কারে অর্জিত সাফল্য দেখার জন্য উত্সাহ দিয়েছেন। চীনের তিব্বত বিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক অধ্যাপক দু ইয়োং বিন বলেছেন, 'পশ্চিমা দেশগুলোর অধিকাংশ মানুষ তিব্বত সম্পর্কে জানেন না। এটা পশ্চিমা দেশের ঐতিহ্যিক ধারণা ও মূল্যবোধের প্রভাবের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। তারা তিব্বত ও চীনের মূলভূভাগ এবং তিব্বতী জাতি ও হান জাতির তফাতের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু তিব্বতী জাতি ও হান জাতি এবং তিব্বত ও মূলভূভাগের অভিন্ন বিষয় অবহেলা করেছে। পশ্চিমা দেশগুলোর বিজ্ঞজনেরা সত্যিকার তিব্বতকে জানতে চাইলে তিব্বতে গিয়ে নিজের চোখে তাকে দেখতে হবে।' (ইন্টারনেট থেকে)

মাত্র এক ক্লিকেই ডিএক্সীং দুনিয়া!

মাত্র এক ক্লিকেই ডিএক্সীং দুনিয়া!


তাছলিমা আক্তার লিমা, ঢাকা থেকে # গল্প নয় সত্যি! এবার মাত্র এক ক্লিকেই আপনি পেয়ে যাবেন দুনিয়ার সকল ডিএক্সীং কার্যক্রমের তাজা সব তথ্য। হ্যাঁ, সত্যি বলছি। বাংলাদেশের অন্যতম বেতার সংগঠন সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) ২০০৮ সালের ৬ অক্টোবর সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছে। ওয়েবসাইটের ঠিকানা http://www.sarc97.blogspot.com/ যেখানে প্রতিদিন ডিএক্সীং এর তরতাজা বিষয়বস্তু প্রতি মূহুর্তে হালনাগাদ করা হচ্ছে। এই সাইটে প্রথমে রয়েছে “ম্যানু” বার যেখানে আপনি দেখতে পাবেন বেশ কয়েকটি পোস্ট যেমন, এখানে আপনি পাবেন সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর সাথে যোগাযোগের সকল রকম ঠিকানা, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) প্রতিষ্ঠার তথ্য, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর অর্গানোগ্রাম, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর কার্যক্রম সমূহ, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর সদস্য হওয়ার আবেদন ফরম, শাখা ক্লাবের সভাপতিদের তথ্য, শ্রোতা সম্মেলনের বিভিন্ন তথ্য ইত্যাদি। এরপর রয়েছে “ব্লগ অ্যাচীভ” যেখানে আপনি দেখতে পাবেন কোন মাসে কতটি কাজ বা পোস্ট অর্জন করা হয়েছে তার সকল তথ্য। অর্থাৎ ওয়েব সাইটে কি কি হালনাগাদ করা হয়েছে তার সকল তথ্য। এর পর পর্যায়ক্রমে দেখতে পাবেন “রেডিও লিংক”, “রেডিও ক্লাব ওয়েব লিংক”, “ডিএক্সীং নিউজ লেটার ওয়েব লিংক”, “নিউজ” এবং সর্ব শেষ “কুইজ কর্ণার”। রেডিও লিংক: এখানে রয়েছে সকল আন্তর্জাতিক বেতারের ওয়েব লিংক,

যেমন- চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সি.আর.আই), ডয়চে ভেলে (ডি.ডব্লিউ), রেডিও ভেরিতাস এশিয়া (আর.ভি.এ), এ্যাডভেন্টিস্ট ওয়ার্ল্ড রেডিও (এ.ডব্লিউ.আর), রেডিও জাপান (আর.জে), রেডিও তেহরান (আর.টি), ভয়েস আব আমেরিকা (ভি.ও.এ), বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস, রেডিও পাকিস্তান (আর.পি) সহ বিভিন্ন বেতারের নাম ইত্যাদি। আর এখানে আপনি আপনার পছন্দের যে কোন বেতার লিংকে একবার ক্লিক করা মাত্রই পেয়ে যাবেন ঐ বেতারের সকল তথ্য। সকল আন্তর্জাতিক বেতারের ওবেসাইটের ঠিকানা আপনার জানা না থাকলেও কোন সমস্যা নেই। http://www.sarc97.blogspot.com/ শুধুমাত্র এই ঠিকানাটি মনে রাখতে পারলেই হলো। এই ঠিকানায় লগইন করে রেডিও লিংক এর মাধ্যমে আপনি একসাথে পেয়ে যাবেন সকল বেতারের ওয়েবসাইটের ঠিকানা। বলা যায় একের ভিতর ৩/৪ নয়, একের ভিতর অনেক! রেডিও ক্লাব ওয়েব লিংক: এই লিংকে রয়েছে বিভিন্ন শ্রোতা সংঘের ওয়েব সাইটের সংযোগ। এখানে আপনি পাবেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেতার সংঘের সর্বশেষ আপডেট কাযর্ক্রম। এই সম্পর্কে আর কিছু বিস্তারিত উল্লেখ করছিনা এই জন্যই যে, শ্রোতাবন্ধুরা যতক্ষন না এই লিংকে লগইন করছেন ততক্ষন পর্যন্ত তারা ডিএক্সীং থেকে অনেক দূর পিছিয়ে থাকবেন। তাহলে আর দেরি না করে এখনি লগইন করুন! ও হ্যাঁ, রেডিও ক্লাব ওয়েব লিংক এর মধ্যে সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের অরো একটি ওয়েসাইট খুজে পাবেন ঠিকানা http://www.southasiaradioclub.webs.com/ । ডিএক্সীং নিউজ লেটার ওয়েব লিংক: এখানে আছে ডিএক্সীং নিউজ, অন্নেশা ডিএক্স মেইল এবং ডিএক্স নিউজ এর ওয়েবসাইট সংযোগ। নিউজ: সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর যত শাখা প্রশাখা রয়েছে, প্রতিটি শাখা প্রশাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম কখন কোথায় কিভাবে পালন করা হচ্ছে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রতি মূহুর্তে তা হালনাগাদ করা হচ্ছে। কুইজ কর্ণার: আন্তর্জাতিক বেতারের বিভিন্ন কুইজ সম্পর্কে জানতে হলে আপনি এখানেই ক্লিক করুন। তাহলে সাথে সাথে পেয়ে যাবেন বিভিন্ন বেতারের কুইজ এর প্রশ্ন। সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর পরিচালক দিদারুল ইকবাল বলেছেন ডিএক্সীং কার্যক্রমের নিরন্তর উন্নতি এবং বিষয়বস্তুর সমৃদ্ধির সংঙ্গে সংঙ্গে এই ওয়েবসাইট শ্রোতা তথা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দিন দিন আরো বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করতে নিত্যনতুন তথ্য দিয়ে নিয়মিত হালনাগাদ করা হবে যাতে শ্রোতাবন্ধুরা উপকৃত হয় ডিএক্সীং কার্যক্রম আরো বেশি প্রসারিত হয়।

blog comments powered by Disqus