আজ ১ অক্টোবর ২০১১ সাল সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সকল আন্তর্জাতিক বেতারের কর্মকর্তা কর্মীবৃন্দ, বেতারের শ্রোতাবন্ধু, ডিএক্সার, মনিটর, ওয়েবসাইটের পাঠক, ফেইসবুক বন্ধু এছাড়া ওয়েবসাইটে আপনারা যারা নিয়মিত ভিজিট করছেন তাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালের এই দিনে সিগন্যাল ইন্সপেক্টর অফিস, সিগন্যাল কেবিন, বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে এই শ্রোতা ক্লাবটি। >>> দিদারুল ইকবাল (সম্পাদক ও প্রকাশক), ডিএক্সীং নিউজ

Jan-Feb/2009 Issue

মাসিক ডিএক্সীং নিউজ

জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী২০০৯

প্রথম পাতা

চীন আন্তর্জাতিক বাংলা বিভাগের ৪০ বছর পূর্তিতে-

ঢাকায় অন্তরঙ্গ মতবিনিময় সভা

ডয়চে ভেলে শিঘ্রই এফ.এম. এ আসবে

ঢাকায় ডয়চে ভেলের ৪র্থ শ্রোতা সম্মেলনে ডয়চে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস

শেষ পাতা

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রতিনিধিদল ও বাংলাদেশ বেতারের মধ্যে-

এফ.এম প্রকল্প নিয়ে স্মারক স্বাক্ষরিত

চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে-

ঢাকায় আনন্দঘন উদযাপনী অনুষ্ঠান

ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের ৩৪ বছর উপলক্ষে-

একুশের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং তাছলিমা আক্তার লিমার একক চিত্রপ্রদর্শনী

সম্পাদকীয় যোগাযোগ

রেডিও শুনুন, বিশ্বকে জানুন- বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সূচী

বিজ্ঞপ্তী

৬ষ্ঠ পাতা

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রোতা সংগঠক, ডিএক্সার এবং শ্রোতাদের ব্যাপক অনুরোধ ও দাবীর পর-

এই প্রথমবারের মত একুশে বইমেলায় ডয়চে ভেলে

ডিএক্সীং নিউজ সম্পাদকীয় বোর্ড

সপ্তম পাতা

চীন আন্তর্জাতিক বেতার-শান্ত মারিয়াম প্রচার কনফুসিয়াস ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা হয়েছে

তিব্বতের রাজা সোংত্সান গামবো ও রাজকুমারী ওয়েংছেং

তিব্বতের রাজা সোংত্সান গামবো ও রাজকুমারী ওয়েংছেং
পাই খাই ইউয়ান, চীন আন্তর্জাতিক বেতার # খ্রীষ্টিয় ৬৩৪ সালের পর থাং রাজবংশের একজন রাজকুমারীকে বিয়ে করার জন্য তিনি পর পর দু'বার তাঁর বিশেষ দূত গার টংটসানকে থাং সাম্রাজ্যের রাজধানী ছাংআনে পাঠান ।
সাত বছর পর সম্রাট থাংথাই জং সোংত্সান গামবোর বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং তাঁর সংগে রাজকুমারী ওয়েংছেংয়ের বিয়ে দিতে রাজী হন ।







এক শুভদিনে থাং রাজবংশের একজন বিশেষ দূতের সমভিব্যহারে রাজকুমারী ওয়েংছেংয় রাজকর্মচারী ও সখীদের নিয়ে রাজধানী ছাংআন ত্যাগ করে দীর্ঘ যাত্রাপথে রওয়ানা হন ।
সোংত্সান গামবোর বিশেষ দূত গার টংটসান ছাংআনে গিয়ে কীভাবে সম্রাট থাংথাই জংয়ের একটার পর একটা কঠিন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছিলেন এবং কীভাবে সোংত্সান গামবোর সংগে সুন্দর ও দয়ালু রাজকুমারী ওয়েংছেংর বিয়ে দিতে রাজী করিয়েছিলেন তার উপর রচিত হৃদয়গ্রাহী গল্প এখনো তিব্বতীদের মুখে মুখে শোনা যায় ।








সোংত্সান গামবো গার টংটসানের কাছ থেকে সুসংবাদ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত । রাজকুমারী ওয়েংছেংকে বরণ করার জন্য তিনি সেনা দল নিয়ে বর্তমান ছিনহাই প্রদেশে হোয়াং হো নদীর উত্পত্তি স্থানে যান । এক নিরিবিলি হ্রদের তীরে স্থাপিত রাজপ্রাসাদে তিনি রাজকুমারী ওয়েংছেংয়ের সংগে প্রথম রাত কাটান ।
সোংত্সান গামবো ও রাজকুমারী ওয়েংছেং যথাসময় বর্তমান ছিনহাই প্রদেশের ইয়ু সু তিব্বত স্বায়ত্ত শাসিত বিভাগের ইয়ু সু এলাকায় পৌঁছান ।
সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি মনোরম এবং আবহাওয়া আরামদায়ক । তাঁরা এক উপত্যকায় প্রায় এক মাস অবস্থান করেন ।
রাজকুমারী ওয়েংছেং ও তাঁর সহচররা শস্য ও শাকসবজির বীজ বপন ,জাঁতা দিয়ে গম পেষণ এবং মদ তৈরীর কলাকৌশল স্থানীয় অধিবাসীদের শিখান। এ জন্য স্থানীয় অধিবাসীরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ ।






লাসার উদ্দেশ্যে রাজকুমারী ওয়েংছেং যখন সেখান থেকে চলে যান ,তখন তারা কৃতজ্ঞতার অশ্রু-ভরা চোখে তাকে বিদায় জানায় ।
রাজকুমারী ওয়েংছেং যেখানে তাবু খাটিয়ে থাকতেন স্থানীয় তিব্বতীরা যুগ যুগ ধরে সেই স্থান সযত্নে সংরক্ষণ করেছে । তারা রাজকুমারী ওয়েংছেংয়ের পায়ের চিহ্ন ও প্রতিকৃতি প্রকাণ্ড পাথরে খোদাই করে প্রতিবছর তা শ্রদ্ধার সংগে পুঁজা করেন ।
খ্রীষ্টিয় ৬১৮ সালে চীনের যে বিশাল থাং সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় তা অত্যন্ত শক্তিশালি । বস্তুত: থাং সাম্রাজ্য ছিল তদানীন্তন পূর্ব এশিয়ার সভ্যতার কেন্দ্র । তার আশেপাশের সংখ্যালঘু জাতিগুলো থাং রাজ দরবারের সংগে সুসম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টাকে তাদের স্বার্থের সংগে সংগতিপূর্ণ বলে মনে করতো ।প্রায় একই সময় তিব্বতের খ্যাতনামা রাজা সোংত্সান গামবো তিব্বতে তোবো রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং সক্রিয়ভাবে থাং রাজবংশের সংগে সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেন । (ইন্টারনেট থেকে)
blog comments powered by Disqus